সুপ্রাচীন কাল থেকেই ঐতিহ্যগতভাবে জেলা প্রশাসকগণ জন কল্যাণে জনগণের সাথে গভীরভাবে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করে আসছেন। আধুনিক জন-প্রশাসনকে আরও গতিশীল ও জনমুখী করতে জনগণের সমস্যা ও সম্ভবনা নিয়ে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে জনগণের সভা নামে জেলা প্রশাসকের সাথে জনগণের আলোচনা/সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের সাক্ষাৎ ছাড়াও প্রতি বুধবার দিন ব্যাপী জেলা প্রশাসক জনগণের অভাব, অভিযোগ, আবেদন, নিবেদন শুনছেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তিযোগ্য বিষয়সমূহ তৎক্ষণাৎ নিষ্পত্তি করে জনগণকে সেবা প্রদান করছেন। এছাড়াও টেলিফোনে বা লিখিতভাবে বিভিন্ন দপ্তর/ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে জনগণের অভাব, অভিযোগ, আবেদন, নিবেদন নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। জনগণের সভার সিদ্ধান্তসমূহ লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য পাঠানো হচ্ছে। আপনি আপনার কোনো সমস্যা বা বিষয় প্রতি বুধবার অনুষ্ঠিত জনগণের সভায় জেলা প্রশাসককে জানাতে পারেন। এছাড়া, জেলা প্রশাসকের দপ্তরের নিচতলায় ১১২ নং কক্ষে অবস্থিত আমাদের ফ্রন্ট ডেস্কেও যোগাযোগ করতে পারেন (ফোন নং-০৮১-৬৩৯৯৯,E-mail:dccomilla@mopa.gov.bd)।এই তথ্য বাতায়নের হোম পেইজের বাম দিকে মন্তব্য খাতাতেও আপনি আপনার বিষয় লিখে জানাতে পারেন।
ভিডিও কনফারেন্সিং (স্কাইপ) এর মাধ্যমে গনশুনানি কার্যক্রম
১ প্রেক্ষাপটঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় প্রতি বুধবার জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ে আগত সাধারন জনগণের সাথে গণশুনানী কার্যক্রমে নিম্নলিখিত অসম্পূর্ণতা পরিলক্ষিতহয়ঃ
Øশুধুমাত্র কুমিল্লা শহর ও নিকটবর্তী জনগণের অংশগ্রহণ।
Øঅভিযোগ সমাধানের প্রক্রিয়া ছিল সময় সাপেক্ষ ও অনিশ্চিত।
এরই প্রেক্ষিতে০৩-১২-২০১৪ তারিখ হতে ভিডিও কনফারেন্সিং(স্কাইপ) এর মাধ্যমে গণশুনানী কার্যক্রম এর যাত্রা।
২অগ্রাধিকারওউদ্দেশ্যসমূহঃ
অগ্রাধিকার-প্রাপ্ত-
Øমুক্তিযোদ্ধা, নারী মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারবর্গ
Øগৃহহীন, ভূমিহীন জনগণ
Øশিক্ষক, শিক্ষার্থী
Øপ্রতিবন্ধী
Øবিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ
Øভূমি সংক্রান্ত জটিলতা
উদ্দেশ্যসমূহ-
Øউপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সমস্যাবলীর তাৎক্ষণিক ও দ্রুততম সমাধান
Øডিজিটাল পদ্ধতিতে TCV-রফলপ্রসূপ্রয়োগ।
৩ব্যবহৃত সৃজনশীল পদ্ধতিসমূহঃ
Ø গণশুনানীতে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ভিডিওকনফারেন্সিং (স্কাইপ)এর ব্যবহার।
Øআলোচনা ও সমস্যা সমাধানের বৃহৎ ফোরাম।
৪প্রকল্পশুরু/ বাস্তবায়নের সময়কালঃ
Ø০৩-১২-২০১৪ থেকে প্রতি বুধবার এটি অনুষ্ঠিত হয়।
৫প্রকল্প/ উদ্যোগের ফলে সৃষ্ট প্রভাব বা পরিবর্তনঃ
Øস্বল্পসময়ে এবং খরচে অধিক ও দ্রুত ফলপ্রসূ সেবাপ্রদান
Øজনগনের অভিযোগসমুহ সরাসরি জেলাপ্রশাসকের নিকট জানাতে পারছে।
প্রত্যাশিত ফলাফল (TCV)
|
সময় |
খরচ |
যাতায়াত |
|
জন প্রতি |
প্রতি সপ্তাহের ভিডিও কনফারেন্সিং এ ১৫ জন হিসাবে |
|||
আইডিয়া বাস্তবায়নের আগে |
১৫ দিন |
৫০ - ১০০০ টাকা |
৭৫০ - ১৫০০০ টাকা |
৪ - ৫ বার |
আইডিয়া বাস্তবায়নের পরে |
১ দিন |
০ - ৫০ টাকা |
১৫ - ৭৫০ টাকা |
১ বার |
আইডিয়া বাস্তবায়নের ফলে সেবা গ্রহীতার প্রাপ্ত সুবিধা |
১৪ দিন সময় কম লাগছে |
০ - ৯৫০ টাকা কম লাগছে |
১৫ - ১৪২৫০ টাকা কম লাগছে |
৩ - ৪ বার কম লাগছে |
৬অসাধারণঅর্জনঃ
Øভিডিও কনফারেন্সিং(skype) এর মাধ্যমে গণশুনানী: উপজেলা প্রশাসনের সাথে ভিডিও কনফারেন্স চলাকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনার (ভূমি), সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসসমূহের কর্মকর্তাগণ, আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য, সাব-রেজিস্ট্রার, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বৃন্দ, ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য, স্কুল-শিক্ষক পরিচালনা পরিষদ, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারগণ, শিক্ষক অভিভাবক, উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাধারণ জনগনের সমস্যা শ্রবন ও তাৎক্ষণিক তা সমাধান অনেকক্ষেত্রেই সম্ভবপর হচ্ছে।
Øজটিল সমস্যার সহজ সমাধান: এই শুনানি কার্যক্রমের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ, ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বিতরণ, জমিসংক্রান্ত জটিল সমস্যার সমাধান, অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের আর্থিক ও অন্যান্য সাহায্য, গরীব মেধাবীছাত্র-ছাত্রী সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণ প্রদান্ সহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে এবং উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে কয়েকটি মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুমের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাপাতি সরবরাহ করা হয়েছে।
Øস্বল্প খরচে সেবা প্রদান: ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোতে স্বল্পসময়ে এবং খরচে অধিক ও দ্রুত সেবাপ্রদান সম্ভব হচ্ছে।
Øসরাসরি জেলাপ্রশাসক: প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারন মানুষের পক্ষে সরাসরি জেলাপ্রশাসকের সাথে কথা বলে সমস্যা জানানো খুবই দুস্কর।এক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্সিংএর মাধ্যমে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সমস্যার কথা শুনে সমাধান দেওয়া সম্ভব হচ্ছেএবং প্রতি মাসেই অন্তত একবার প্রতি উপজেলার সকল বিভাগের সরকারি কর্মকর্তা ও জনগনের সাথে ভিডিও সাক্ষাৎ সম্ভবপর হচ্ছে।
Øস্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা:যেহেতু অভিযোগকারী সরাসরি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে তার সমস্যার কথা বলতে পারছে সেহেতু সরকারি কর্মকান্ড সম্পর্কে সাধারন জনগণের সম্মুখে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিতকরণ অনেকাংশে সম্ভব হচ্ছে।
৭ উদ্যোগে বাস্তবায়নকারী ব্যক্তির সম্পৃক্ততার ধরণঃ
নিজস্ব উদ্যোগে ও পরিকল্পনায় ৩ডিসেম্বর,২০১৪ থেকে শুরু হওয়া গণশুনানীতে সরাসরি উপস্থিত থেকে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
৮ টেকসই অবস্থাঃ
দাপ্তরিক কাজের দীর্ঘসূত্রিতার অবসানে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা,ব্যয়সংকোচও বাস্তবানুগ অনেক সুবিধাদি সর্বোপরি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়ার অংশ হওয়ায় তা এইকার্যক্রম কে স্থায়ীত্ব দিতে সক্ষম হবে।
৯ মনিটরিং ও ফলোআপঃ
প্রতি মাসের চার সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত প্রতিটি ভিডিও কনফারেন্সিং এর পরবর্তী সপ্তাহে বর্ণিত সমস্যাসমূহের সমাধানের বিষয়ে ফলোআপ গ্রহণ করা হয়।
১০ ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে গণশুনানি কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
বর্তমান জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে বিগত ০৩-১২-২০১৪ তারিখ হতে জনসেবায় ই-সার্ভিস কার্যক্রমকে ত্বরান্বিতকরণ এর লক্ষ্যে প্রতি বুধবার কুমিল্লা জেলার ৩/৪ টি করে উপজেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সিং(স্কাইপ) এর মাধ্যমে গণশুনানী কার্যক্রম শুরু হয়।এই কার্যক্রম বুধবারের নিয়মিত গণশুনানীর পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এইকার্যক্রমের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ, ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বিতরণ, ভূমি সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান, অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের আর্থিক ও অন্যান্য সাহায্য, গরীব ও মেধাবী ছাত্র - ছাত্রী সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে এবং উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহায়তায় কয়েকটি মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য ভিডিও কনফারেন্সিং (skype) এর মাধ্যমে জেলার ১৭টি উপজেলার জনগণের সাথে ২১ টি গণশুনানী কার্যক্রমে এ পর্যন্ত মোট ৪৪৩ জনকে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস